অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তর ডেনমার্কের রোয়ালড ফরেস্ট এলাকায় একটি শীর্ষ গোপন বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর পীড়াপীড়িতে দেশটি ১৯৬৩ ও ১৯৬৮ সালের মধ্যে বাঙ্কারটি তৈরি করেছিল। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি সরকারকে পারমাণবিক হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ডেনিশ সরকার সম্প্রতি বাঙ্কারটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি শীতল যুদ্ধের সময়কার মানুষের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে ধারণা দেবে।
এত দিন ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারের তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ইউরোপে পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে দেশটির সরকার পুরনো বাঙ্কারটিকে জাদুঘরে পরিণত করেছে। তবে বাঙ্কারে সবকিছু আগের মতোই রাখা হয়েছে।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এটিকে জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধনের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডেনমার্ক সরকার জানিয়েছে, বাঙ্কারটি সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ও কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছিল। এর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রিগান ওয়েস্ট’।
পরিকল্পনা ছিল পারমাণবিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে ডেনিশ সরকার ও রাজাকে বাঙ্কারে রাখা। গাছপালা একটি পাহাড় থেকে ২০০ ফুট নিচে এর অবস্থান। জাদুঘরের পরিচালক লার্স ক্রিশ্চিয়ান নরব্যাক জানান, এটি ডেনমার্কে গণতন্ত্রের শেষ ঘাটি হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
ডেনিশ কর্তৃপক্ষ কোপেনহেগেন থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এই বাঙ্কারে এক মাস থাকতে পারে। কিন্তু তা কখনো ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৩ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাঙ্কারটি আর ব্যবহার করা হবে না। ২০১২ সালে বাঙ্কারের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
স্লিপিং কোয়ার্টার, ক্যাফেটেরিয়া, সরকারি কনফারেন্স সেন্টার ছাড়াও বাঙ্কারে ষাটের দশকের বিভিন্ন সাজসজ্জা দেখা যায়। নরব্যাক আরও জানান, এটি কাগজ, পেন্সিলের একটি টাইম ক্যাপসুল (ঐতিহাসিক তথ্য রাখার জায়গা), যা একই থাকে।
বাঙ্কার বিষয়ে ঐতিহাসিক বডিল ফ্রান্ডসেন জানান, তরুণ প্রজন্মকে দেখানোর জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখান থেকে বুঝতে পারবেন স্নায়ুযুদ্ধের সময় মানুষ কতটা চিন্তিত ছিল।
Leave a Reply